প্রকাশিত: ২৭/০২/২০২২ ৭:৩২ এএম

করোনার বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পর ফের সৈকত শহর কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটকের আগমন। বিশেষ করে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নামছে সাগরতীরে। আগত পর্যটকরা সৈকতে নেমে বালিয়াড়িতে যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বোতল, চায়ের কাপ, চিপ্সের প্যাকেট, পলিথিনসহ কলার খোসা। এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি না থাকাকেই দুষছেন অনেকেই। আর পর্যটকের চাপ বাড়ায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

শীতের আমেজ অনেকটাই শেষ; রোদের তাপও বেড়েছে। তারপরও সৈকতে দলে দলে নামছে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা। কেউ নামছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ নামছেন প্রিয়জন নিয়ে; আবার অনেকই নামছেন গ্রæপ নিয়ে। সবারই উদ্দেশ্যে সাগরের নীল জলরাশিতে একটু গা ভেজানো।
বালিয়াড়ি পেরিয়ে পর্যটকরা মেতেছেন সাগরের নোনাজলে। কেউ তুলছেন ছবি, কেউ করছেন সমুদ্রস্নান। আবার কেউ কেউ চড়ছেন ওয়াটার বাইকে। এভাবেই প্রতিটি মুহুর্ত সৈকতে কাটছে পর্যটকদের।
নারাণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক সৈয়দুর রহমান বলেন, প্রশান্তির খোঁজে কক্সবাজার ছুটে আসা। সৈকতের উত্তাল ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে বেশ আনন্দ পাচ্ছি।

আরেক পর্যটক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, পরিবারের মোট ১০ জন সদস্যকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এলাম। শুক্রবার সকালে গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে হোটেল উঠলাম। তারপর নাস্তা করে সৈকতে এলাম সবাই মিলে। এখানে গোসল করছি, সবাই মিলে বেশ আনন্দ হচ্ছে।
সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে আছে প্লাস্টিকের পানির বোতল, চায়ের কাপ, চিপ্স ও সিগারেটের প্যাকেট, কলার খোসাসহ নানা ময়লা-আর্বজনা। যার জন্য হকাররা দায়ী করছে পর্যটকদের। আর পর্যটকদের অনেকেই বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় নোংরা হচ্ছে সৈকত।
সৈকতে কলা বিক্রেতা রহিম বলেন, শুধু আমি না; এখানে ১০ জনের অধিক ব্যক্তি কলা বিক্রি করছে। আমি কলার খোসাগুলো পলিথিনে ভরে ডাস্টবিনে ফেলছি। কিন্তু অনেকেই তা করছে না। আর পর্যটকরা কলা খেয়ে খোসাগুলো বালিয়াড়িতে ফেলে দিচ্ছে।
পর্যটকরা বলছেন, সৈকতে এসে আনন্দ করছি। এর মাঝে চিপস, কপি বা পানি খেয়ে প্যাকেট বা বোতলগুলো অনেকেই বালিয়াড়িতে ফেলে দিচ্ছে। কারণ তারা সচেতন নয়। যদি প্রশাসনের প্রচারণা বা তদারকি থাকতো তাহলে এধরণের ময়লা-আর্বজনা পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে ফেলতো না।
আর ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে; করোনার বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে কক্সবাজার সৈকতে বাড়ছে পর্যটকের আগমন। তাই হোটেল মোটেল জোনসহ সৈকতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনার বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে দেখছি সৈকতে পর্যটকের আগমন বাড়ছে। তাই সৈকতসহ হোটেল মোটেল জোন ও পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আর সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহলও অব্যাহত রয়েছে।
পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণ এসে সমুদ্রসৈকতসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ার টেক ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে।

পাঠকের মতামত

গোল্ড কাপ ফাইনালে টিকিট কেলেঙ্কারি, মাঠে দর্শকদের বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা

জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। শুক্রবার ...

উখিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে শিশু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

উখিয়ায় বাল্য বিবাহের হার কমিয়ে আনতে শিশু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...

বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক চেয়ারম্যানের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

রামু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। ...